Skip to main content

বাংলাদেশ পুলিশের একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা

নিরাপত্তা বাহিনীর উচিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের সংস্কৃতিকে মোকাবিলা করা

বাংলাদেশ পুলিশ দ্বারা সংঘটিত অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, মেজর সিনহা রাসেদ খানের হত্যাকান্ড পরিশেষে নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের সংস্কৃতির মুখোমুখি হতে বাধ্য করেছে। বহু বছর ধরে, কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অভিযোগগুলো খারিজ করে আসছে, এমনকি এধরনের হত্যাকান্ডকে সমর্থন করছে অপরাধ দমনের মাধ্যম হিসেবে, সুস্পষ্ট মিথ্যা দাবী করেছে যে, বন্দুক যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মারা গিয়েছে, হয়তোবা ক্রস ফায়ারে অথবা নিরাপত্তা বাহিনী আত্নরক্ষায় গুলি বর্ষন করার কারণে।

মেজর সিনহার হত্যাকান্ড যখন অবশেষে ক্ষমতাসীনদের নাড়িয়ে দিয়েছে, এটি সুস্পষ্ট যে সরকার তার নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যকার বিস্তৃত সমস্যা সমাধানের চেয়ে ঘটনাটি পাশ কাটিয়ে উঠতে বেশি আগ্রহী।, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা অধিকার  এর মতে শুধুমাত্র এই বছরেই এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তার দ্বারা নিহত হয়েছে, এ পর্যন্ত এ মামলাগুলোর কোনোটিরই সুষ্ঠু  বিচার হয়নি, যদিও এর আগে শতাধিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, ।  

মেজর সিনহার হত্যার পর, প্রাথমিকভাবে পুলিশ তাদের রক্ষার্থে প্রচলিত পন্থা ব্যবহার করেছিলো। ৩১শে জুলাই, একটি তথ্যচিত্র ধারণ করে ফেরার পথে সিনহা্ কক্সবাজার চেকপয়েন্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়, পুলিশ বলেছে যে তারা আত্নরক্ষার জন্যে গুলি করেছিল, তারা সিনহার গাড়ি থেকে প্রনোদনামূলক মাদক (recreational drug) উদ্ধার করে এবং তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করে।

তবে একসময়কার প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সৈনিক হত্যার ঘটনায় জনসাধারণ এবং সেনাবাহিনীর উভয়ের মধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হলে কর্তৃপক্ষ কিছু ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। একুশজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সহ আরো নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যিনি জনসম্মুখে এ ধরনের “ক্রসফায়ারে” হত্যাকান্ডের সমর্থন করেছিলেন - নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রায়শই বাংলাদেশে এ ধরনের পরোক্ষ শব্দ ব্যবহার করে - এই বলে যে নিহতরা সবাই অপরাধী ছিল। অভিযোগগুলি তদন্ত করার পরিবর্তে সরকার বরং তাকে পদক প্রদান করে। 

মেজর সিনহার মৃত্যুর পরে গ্রেপ্তারকৃতদেরসহ অন্যান্য বেআইনী হত্যার অভিযোগগুলোকে স্বাধীন তদন্তের মধ্য দিয়ে পরিচালনা করা উচিত যাতে অপরাধীদের যথাযথভাবে আইনের মুখোমুখি করা যায়। এমনটা হবে বলে মনে করা যাচ্ছে না। যদিও সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রধানরা মেজর সিনহার মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তের তদারকি করছেন, উভয়কেই কেবল ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে মনে হয়েছে, এটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং "ক্রসফায়ার" শব্দটি ব্যবহার করার জন্য অধিকার সংস্থাগুলিকে দোষ দিয়েছেন।

Your tax deductible gift can help stop human rights violations and save lives around the world.