Skip to main content

বাংলাদেশ: মানবতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো করার আহবান জানিয়েছে নিগৃহীতদের পরিবার

মানবাধিকার সংস্থাগুলি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করাকে নিন্দা জানায়

Bangladeshi police cordon off the court building during the court appearance of former Prime Minister Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh, December 28, 2017. © 2017 AP Photo/A.M. Ahad

(নিউইর্য়ক) - আজ চারটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এ কথা বলেছ যে আইন প্্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে চলমান হয়রানি ও হুমকির অবসান ঘটাতে হবে, ।

মত প্রকাশের স্বাধীকার চর্চাকারীদের উপর সরকারের চলমান এই দমননীতি এবং আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা পালনের ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অ্যামেনাস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস।

সংগঠনগুলি মানবতাকর্মীদের পরিবারের, এমনকি সুরক্ষার জন্য দেশত্যাগী কর্মীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালের চলমান ভয়ভীতি প্রদর্শনের যে মানসিকতা গড়ে উঠছে তাতে সংশয় প্রকাশ করেছে। ভিন্ন মত দমনের জন্য আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত ভাবে কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের আপনজনদের সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা বন্ধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

কিছুদিন আগে, মানবাধিকার কর্মী পীনাকি ভট্টাচার্যের পরিবারের একাধিক সদস্যদের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের দেখা করা এবং জিজ্ঞাসাবাদ ছিলো সরকারের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধী মত দমন কৌশলের সর্বশেষ উদাহরণ।

২০২০ সালের জুলাইয়ে সংস্থাগুলো অ্যাকটিভিস্ট ও ব্লগার আসাদ নুরের পরিবারের সাথে দেখা করে এবং তাদেরকে চাপ দেন যাতে আসাদ নুর ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা বন্ধ করেন।

এপ্রিলে সিলেটে প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাসনিম খলিলের মা-কে তাঁর ছেলের সাংবাদিকতার কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ২০১৯ এর ডিসেম্বরের শেষ থেকে খলিলের সংবাদ বিপনন মাধ্যম, নেত্র নিউজ বাংলাদেশে বন্ধ করা হয়েছে। তার মা-কে হুমকি দেয়া হয় যে যদি দ্বিতীয়বার তাঁর কাছে আসতে হয় তাহলে ‘খুব ভালো’ হবে না।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেন যে পরিবারে প্রতি এই হুমকি অ্যাকটিভিস্ট, সাংবাদিক এবং যারা সরকার বিরোধী, বিশেষ করে শোষনের নতুন অস্ত্র ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসপি) ব্যবহার সেই উদ্দ্যেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সরকার এই আইনকে আরও শক্তিশালী করেছে যাতে সরকার বিরোধীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক কিংবা অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করতে পারে।

করোনা ভাইরাস মহামারী বাংাদেশে আঘাত হানার পর থেকে অনেক মানুষ গ্্েরপ্তার করা হয়েছে, আটক করা হয়েছে এবং সরকারের  কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অনেকে গুম হয়েছেন। অ্যাকটিভিস্ট এবং তাদের পরিবারকে হুমকি দেয়ার এই সকল কার্যকলাপ ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছে এবং সাধারণ জনগনের নিরাপত্তাকে বিঘিœত করছে।

বাংলাদেশের উচিত স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ভাবে এই সকল অভিযোগের তদন্ত করা, প্রশাসনের কর্মকর্তদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং অ্যাকিটিভিস্টদের পরিবার এবং যারা স্বাধীকার চর্চা করছেন তাদের এই ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করা। 

Your tax deductible gift can help stop human rights violations and save lives around the world.

Region / Country
Topic